সাংবাদিক এমএ লতিফ আমাদের পরিবারের একজন সদস্য ছিলেন। আমার আব্বা ও আমার আম্মার সাথে ভালো সম্পর্ক ছিল এবং নিয়োমিত যোগাযোগ রাখতেন। আজ মরহুম সাংবাদিক এমএ লতিফের জানাজায় অংশগ্রহণ করে এসব কথাগুলো বলেন, কিশোরগঞ্জ-৬ (ভৈরব-কুলিয়ারচর) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নাজমুল হাসান পাপন। তিনি আরো বলেন, গতকাল ৪ সেপ্টেম্বর রোববার মরহুম লতিফ মিয়ার সাথে শেষ কথা হয় এবং আজ তার সাথে দেখা করার কথা ছিল। কিন্তু আজ তার মৃত্যুর খবর শুনে আমি খুবই মর্মাহত। এ সময় তিনি মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
জানা যায়, আজ ৫ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ভৈরব পৌর শহরের ভৈরবপুর উত্তর পাড়া এলাকার নিজ বাড়িতে সাংবাদিক এমএ লতিফ (৬৪) মৃত্যুবরণ করেন (ইন্নালিল্লাহি…..রাজিউন)। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ হার্টের সমস্যাসহ বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে শয্যাশায়ী ছিলেন। সাংবাদিক এমএ লতিফ ভৈরব পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও ভৈরব থেকে প্রকাশিত দৈনিক গৃহকোণ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। এছাড়াও তিনি ভৈরবের বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক অঙ্গ সংগঠনের সাথে উৎপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন। মৃত্যুকালে স্ত্রী, ৬ ছেলে, ১ মেয়ে, নাতী-নাতনীসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। আজ সোমবার বাদ আসর মরহুমের জানাজা শেষে ভৈরব পৌর কবরস্থানে দাফন করা হয়। মরহুম এমএ লতিফের নামাজে জানাজায় অংশগ্রহণ করেন, ভৈরব পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব মো. ইফতেখার হোসেন বেনু, ভৈরব উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সেন্টু, কিশোরগঞ্জ জেলা পরিষদ সাবেক সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা মির্জা মো. সোলায়মান, উপজেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি অধ্যাপক শামসুজ্জামান বাচ্চু, জাকির হোসেন কাজল, প্রয়াত সাবেক রাষ্টপ্রতি আলহাজ্ব মো. জিল্লুর রহমান এর একান্ত সচিব লুৎফর রহমান ফুলু ও শাখাওয়াত উল্লাহ, ভৈরব থানা অফিসার ইনচার্জ মো. গোলাম মোস্তফা (পিপিএম), ভৈরব পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি এসএম বাকী বিল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক আতিক আহমেদ সৌরভসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী ও বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
জানাজা পূর্বে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরাসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে মরহুমের কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।